অর্থ প্রকাশক ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টিকে আমরা বলি শব্দ। শব্দ হলো ভাষার প্রাণ। যে ভাষার শব্দভান্ডার যত বেশি সমৃদ্ধ, সেই ভাষা তত বেশি উন্নত। আর ভাষায় ব্যবহৃত শব্দের সংগ্রহমূলক গ্রন্থ হলো অভিধান। আমরা অভিধানে শব্দের একটি অর্থ যেমন পাই, তেমনি একটি শব্দের একাধিক অর্থও পাই। শব্দের অর্থ সব সময় একই রকম থাকে না।
অর্থ প্রকাশক ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টিকে আমরা বলি শব্দ। শব্দ হলো ভাষার প্রাণ। যে ভাষার শব্দভান্ডার যত বেশি সমৃদ্ধ, সেই ভাষা তত বেশি উন্নত। আর ভাষায় ব্যবহৃত শব্দের সংগ্রহমূলক গ্রন্থ হলো অভিধান। আমরা অভিধানে শব্দের একটি অর্থ যেমন পাই, তেমনি একটি
ইতিহাস চর্চার ঐতিহ্য হাজার বছরের পুরোনো হলেও বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চার সূত্রপাত খুব বেশি দিনের নয়। ঔপনিবেশিক শাসনামলেই বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চার ধারা শুরু হয়েছিল। অষ্টাদশ শতকে কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠার পর গবেষকদের হাতে যখন ভারতবিদ্যার জ্ঞান বিস্ফোরিত হচ্ছিল, তখন থেকেই ইতিহাস চর্চার ধারা শু
একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের দুই দলে মধ্যে হট্টগোল হয়েছে।
নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে। বুধবার সকালে রাজধানীর আফতাবনগরে ‘প্রভাত ফেরি’ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মিত ‘শহীদ মিনার’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়
পাহাড়ি অঞ্চলের হাজং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি হারিয়ে যেতে বসেছে। এই ভাষা টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অন্তর হাজং। বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে নিজের গোত্রের বিভিন্ন বয়সীদের হাজং ভাষা শেখাচ্ছেন তিনি।
ফেব্রুয়ারি এলেই বাংলা ভাষা নিয়ে হইচই আর সাদাকালো পোশাক নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়ে যায়। তারপর আবার পরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নীরবতা। মাঝখানে পয়লা বৈশাখে আবার বাঙালিত্ব জেগে ওঠে। লাল-সাদা পোশাক নিয়ে পান্তা-ইলিশ। এতে দোষের কিছু নেই; বরং সংস্কারমুক্ত দুটো বিষয় বাঙালিদের অল্প সময়ের জন্য হলেও এক ও ধর্মনিরপেক্ষ
যখন ১৪৪ ধারা ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা থেকে ১০ জনি মিছিলগুলো বেরোচ্ছিল, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন কী করছিলেন? তিনি যদি তখন বলিষ্ঠ কোনো অবস্থান নিতে পারতেন, তাহলে কি সেদিন গুলিবর্ষণ হতো না? দিনটি হতে পারত অন্য রকম?
একুশের সকালে ছাত্রদের মধ্যে ছিল অস্থিরতা, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ছিল উত্তেজনা। পুলিশি বাধার আশঙ্কা মাথায় রেখে ছাত্রনেতাদের কয়েকজন ভোরেই উপস্থিত হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। গাজীউল হক, মোহাম্মদ সুলতান, এস এ বারী এটিরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছে চিরকুট
মাতৃভাষা মানে মায়ের ভাষা। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর কাছ থেকে যে ভাষা শোনে এবং তাদের সঙ্গে যে ভাষায় কথা বলে, তা-ই তার মাতৃভাষা। মায়ের ভাষায় কথা বলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। ইসলাম মায়ের প্রতি যেমন অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ শেখায়, তেমনি মাতৃভাষার প্রতিও অত্যধিক গুরুত্ব
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর হাতে দেওয়া রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের স্মারকলিপিটিতে বলা হয়েছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের একমাত্র মুসলমান যুবকদের নিয়ে গঠিত কর্মপরিষদ মনে করে যে, পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা বাংলা হওয়া উচিত। কোন কোন রাষ্ট্রে একাধিক রাষ্ট্রভাষা গৃহীত আছে, সে দৃষ্টান্তগুলোও
গণপরিষদে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের বক্তৃতা, খাজা নাজিমুদ্দিনের উর্দুর পক্ষে ওকালতি আর লিয়াকত আলী খানের বাংলার প্রস্তাব নাকচ—এসবই তখন উত্তপ্ত করে তুলছিল পূর্ব বাংলা। আন্দোলন বেগবান করার লক্ষ্যেই ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ পুনর্গঠিত হয়। সৃষ্টি হয় দ্বিতীয় সংগ্রাম পরিষদের। তমদ্দুন মজলিসের শামসুল আলম আহ্বায়ক
উনিশ শতকের শেষে এবং বিশ শতকের শুরুতে বাঙালি মুসলমান এক অদ্ভুত ভাষা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। ধর্মের ভাষা আরবি, সংস্কৃতির ভাষা ফারসি, ভারতের অন্যান্য মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের ভাষা উর্দু, রাজভাষা ইংরেজি এবং মাতৃভাষা বাংলা। কোনটা রেখে কোনটাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে সে প্রশ্নে খানিকটা বিহ্বল হয়েছিল বাঙালি।
১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর ভাষার প্রশ্নটি সামনে এসে গেল, গড়ে উঠল ইতিহাস। কিন্তু সে ইতিহাস আলোচনার আগে একটু বুঝে নেওয়া দরকার, বাংলা ভাষাকে কী চোখে দেখত সে কালের অভিজাতশ্রেণি। কেন বাংলা ভাষা নিয়ে সংশয় কাটাতে পারছিল না সাধারণ বাঙালি।
এখনো দেশভাগের আগের সময়টা নিয়েই কথা বলছি। ১৯৪৭ সালের ২৯ জুলাই দৈনিক আজাদে প্রকাশিত ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র লেখাটি যে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. জিয়াউদ্দীন আহমদের উর্দুর পক্ষে ওকালতির একটা জবাব ছিল, সেটা বোঝা যায় প্রবন্ধটি পড়লে। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ বলছেন, ‘ড. জিয়াউদ্দীন আহমদ উর্দু
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির পটভূমি তৈরি হয়েছিল আরও অনেক আগেই। ভাষা-বিতর্ক চলছিল। সে সময় যাঁরা ভাষা-বিতর্কে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন, আবদুল হক তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ভাষা প্রসঙ্গে তাঁর সেই লড়াই নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার।
পূর্ব বাংলায় পাঙ্খাপুলার, পালকির বেহারা, দারোয়ান, কোচোয়ান ও মেথররা সবাই ছিল বহিরাগত। উত্তর প্রদেশ, ভোজপুর, ওডিশা ও বিহার থেকে আসত এরা। বাংলা ভাষা তারা আধো আধো রপ্ত করেছিল। মূলত বাংলা ভাষার প্রতি তাদের গভীর আবেগ থাকার কথা না।